সৎ মিডিয়া বনাম অসৎ মিডিয়া
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
লেখকঃ আলী হাসান তৈয়ব | সম্পাদনা
: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
এক.
মুহিত
সাহেবের একখণ্ড জমি
আছে করতোয়া নদীর
ওপারে। বাপ-দাদার
আমল থেকেই এ
জমি তাদের নিজস্ব
সম্পত্তি। গত কয়েক
বছর আগে এটি
পেয়েছেন উত্তরাধিকার সূত্রে। কিন্তু
বাবার নিজের দেয়া
এ জমির মালিকানা তাকে
কিছুতেই দিতে রাজি
হচ্ছিলেন না তার
সহোদর। শালিস-বিচারে
ফয়সালা তার পক্ষে
যাওয়ার পরও এ
সম্পত্তির দখল নিতে
পারছেন না তিনি।
কে বা কারা
তার সে সহোদরকে বুদ্ধি
দিয়েছিল সাংবাদিককে টাকা
খাইয়ে নিজের পক্ষে
একটি রিপোর্ট করে
নিতে। তিনি তা-ই করেন।
সাংবাদিক জমির প্রকৃত
মালিক মুহিত সাহেবের বিরুদ্ধে শক্ত
ভাষায় একটি রিপোর্ট করেন।
তাতে তাকে অবৈধ
দখলকারী এবং তার
ভাই (প্রকৃত জবরদখলকারী) কে
ষড়যন্ত্রের শিকার বলে
উল্লেখ করা হয়।
বেচারা মুহিত সাহেব
এতকিছু বুঝেন না।
এত মারপ্যাচ বা
কূটবুদ্ধি নেই তার
মাথায়।
আপন
ভাই তাকে যখন
রিপোর্ট দেখিয়ে হুমকি
দিলেন এবার তুমি
আদালতের আশ্রয় নিয়েও
কিছু করতে পারবে
না, তখন তিনি
একেবারেই হতাশ হয়ে
গেলেন। নিজের ভাই
তার বিরুদ্ধে এমন
জঘন্য ষড়যন্ত্র করার
পরও সাহস করলেন
না তিনি ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
করতে। শুধু অসহায়
আক্ষেপে বিচারের ভার
আল্লাহর ওপর ছেড়ে
দিয়ে নীরবে চোখের
পানি ফেলতে লাগলেন।
দুই.
রতনকে
সবাই এলাকার সেরা
সন্ত্রাসী হিসেবেই চেনে।
পাড়ার মুরুব্বিদের চোখের
সামনেই সে নারীর
শ্লীলতাহানী করে। প্রিয়তমা স্ত্রী
আর মমতাময়ী মায়ের
সামনেই সে কুপিয়ে উল্লাস
করে তার বিরুদ্ধে টু
শব্দ করা যে
কাউকে। গত কয়েক
বছর আগে সে
ওয়ার্ড কমিশনার নিযুক্ত হয়।
তারপর তার অত্যাচার আর
নির্যাতন আরো বেড়ে
যায়। সবাই ভাবে
পরের নির্বাচনে তার
সমুচিত জবাব দেবেন।
কিন্তু নানা কৌশলে
পরের বারও সেই
নির্বাচনে বিজয়ী হয়।
তিন.
গত
রমযানে ইফতারের আগ
মুহূর্তে এক প্রতিপক্ষকে তার
লোকেরা খুন করে
চৌরাস্তার মাথায়। খুনীরা
উল্লাসও করে আধাঘণ্টা যাবত।
অনেকেই স্বচক্ষে দেখেছেন এই
হত্যাকাণ্ড। তবে কারও
সাহস নেই এ
ব্যাপারে সত্য কথা
উচ্চারণের। নিহতের পরিবার
মামলা করেছে। কিন্তু
এই সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দেয়
এক শ্রেণীর সাংবাদিক। তারা
কলমের মাধ্যমে তাকে
বাঁচাতে যা করার
তাই করে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------
পাঠক!
আপনারা নিশ্চয় আমার
সঙ্গে একমত হবেন
যে এমন ঘটনা
বর্তমানে প্রায়ই ঘটছে।
মিডিয়া প্রায়ই ভালোকে
মন্দ আর মন্দকে
ভালো বানাচ্ছে। সাদাকে
সাদা এবং কালোকে
কালো বলার সাহস
সবসময় ধরে রাখতে
পারছে না এক
শ্রেণীর মিডিয়া। শুধু
তাই নয় আজকাল
মিডিয়া প্রতিষ্ঠাই করা
হচ্ছে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবার
অসৎ উদ্দেশ্যে। কোনো
অপরাধী গোষ্ঠীকে নিরপরাধ হিসেবে
তুলে ধরার এজেন্ডা নিয়ে।
মিডিয়া আমাদের উপকারের চেয়ে
অপকারই করছে বেশি।
মিডিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সব
শ্রেণীর লোকের মুখোশ
উন্মোচন করে বেড়ান। অথচ
তাদের মুখোশের নিচেও
থাকে বড় কুৎসিত
চেহারা।
ইদানীং
ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটে প্রেস
বা সাংবাদিক লেখা
প্রাইভেটকার বা মাইক্রো বাস
প্রায়ই চোখে পড়ছে।
সাংবাদিকরা নারী নির্যাতন থেকে
শুরু করে ঘুষ,
হুমকির মতো অপরাধে
অহরহ জড়িত হচ্ছেন। একটি
প্রতিবেদনে পড়েছিলাম, পুলিশ
ঘুষ নেয় দেহব্যবসায় জড়িত
আবাসিক হোটেলগুলোর মালিক
এবং অপরাধীদের থেকে।
পক্ষান্তরে এক শ্রেণীর সাংবাদিক ঘুষ
নেয় অসামাজিক এই
কাজে জড়িতদের মুখোশ
খুলে দেয়ার ভয়
দেখিয়ে, তারপর হোটেল
মালিকদের থেকে টাকা
নেয় এমনকি পুলিশদের থেকেও
নেয় তাদের অপরাধ
নিয়ে রিপোর্ট করার
হুমকি দেখিয়ে।
এ
ছাড়া ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলোয় চাকরি
দেবার নাম করে
তরুণীদের শারীরিক নির্যাতন বা
টিভি রিপোর্টার, নিউজ
প্রেজেন্টার পদের প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল
অর্থ হাতিয়ে নেয়ার
ঘটনাও এ সমাজে
বিরল নয়। দুর্নীতি দমন
কমিশনের অভিযান সর্বমহলেই হয়;
হয় না শুধু
সাংবাদিকতার মতো আদর্শ
পেশার এমন কিছু
কালপ্রিটের বিরুদ্ধে। অবৈধ
সম্পদের হিসাব যদি
ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, আইনজীবীসহ নানা
পেশায় জড়িতদের নেয়া
হয়। তবে সাংবাদিকের আলখেল্লাধারী এসব
ভদ্রদেরও সম্পদের হিসাব
নেয়া দরকার।
এসব
লোকই আজকাল বাংলাদেশের বহু
মিডিয়ার কর্ণধার। আর
বর্তমানে মিডিয়া কিভাবে
আমাদের জীবনে স্থান
করে নিয়েছে তা
আমরা সবাই জানি।
মিডিয়ার হামলা ও
আগ্রাসন থেকে আজ
আমরা কেউই নিরাপদ
নই। সবার ঘরে
ঘরে মিডিয়া ঢুকে
পড়েছে। প্রতিটি বাড়িতেই টিভি
নামের আধুনিক আবিষ্কার জায়গা
করে নিয়েছে। শুধু
বাড়িতে কেন, প্রতিটি দোকানে
দোকানে শোভা পাচ্ছে
স্যাটেলাইট প্রযুক্তি সমৃদ্ধ
টেলিভিশন। শহর কিংবা
গ্রাম- সর্বত্র বিস্তার করেছে
আধুনিক মিডিয়া। কম্পিউটার আর
মোবাইল এসে যেন
মিডিয়াকে পাগলা ঘোড়ার
পিঠে বসিয়ে দিয়েছে। সবার
ঘরে ঘরে ঢোকার
পর মিডিয়া ঢুকে
পড়েছে এখন সবার
পকেটে পকেটে। পৌঁছে
গেছে শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবার
হাতে। যারা টিভির
রাহুগ্রাসে আটকা পড়ে
নি, তারাও উপেক্ষা করতে
পারে না খবরের
কাগজ কিংবা এফএম
রেডিও। খবরের কাগজ
তো আমরা সবাই
পড়ি।
কতই
না ভালো হতো
যদি মিডিয়াগুলো ন্যায়
ও সুন্দরের পথ
দেখাতো। অবিচার ও
অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে
দাঁড়াতো। এটিই তো
মিডিয়ার দায়িত্ব। কিন্তু
দুঃখের সঙ্গে আমরা
দেখি, মিডিয়া সে
দায়িত্ব পালন না
করে মন্দের প্রচারেই ব্যস্ত। মন্দ
ও অসুন্দরের সঙ্গেই
মিডিয়ার যত সখ্য।
মিডিয়ার দায়িত্ব মানুষের কাছে
সঠিক তথ্য ও
প্রকৃত ঘটনা তুলে
ধরা। নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে
মানুষের ভালো-মন্দ
এবং সুখ-দুখের
কথা সবার সামনে
উপস্থাপন করা। ক্ষমতাসীনদের সঠিক
দিকনির্দেশনা দেয়া। মানুষের সমস্যা
ও সম্ভাবনার কথা
তুলে ধরা। দেশের
প্রত্যন্ত অঞ্চল ও
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যাবতীয় দুঃখ-বেদনা ও
প্রয়োজনের প্রতি সরকারের দৃষ্টি
আকর্ষণ করা। পাশাপাশি সরকারের অন্যায় ও
জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডের গঠনমূলক সমালোচনা করা।
মানুষকে সরকারের অপকর্ম
ও অনৈতিক কাজকর্ম সম্পর্কে সচেতন
করাও মিডিয়ার অন্যতম
দায়িত্ব।
আমাদের
মিডিয়াগুলো এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন
করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
প্রায় মিডিয়াকেই দেখা
যায় অনুমাননির্ভর তথ্য,
অসত্য ঘটনা আর
যৌন উত্তেজক খবরের
প্রতি বেশি আগ্রহী। ইদানীং
প্রায়ই দেখা যায়
ঘটনার গভীরে না
পৌঁছে সংবাদ পরিবেশন করা
হয়। অনেক ক্ষেত্রেই সাংবাদিকরা কারো
পক্ষ হয়ে কিংবা
কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে
কোনো ব্যক্তি বা
প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন।
অনেকে হলুদ সাংবাদিকতা ও
তথ্য সন্ত্রাসের আশ্রয়
নেন।
মিডিয়ায় যারা
কাজ করেন, যারা
মানুষের সুখ-দুঃখের
কথা তুলে ধরেন
মিডিয়ার মাধ্যমে এবং
সুদূর পল্লীর খবর
প্রচার করেন জাতির
সামনে তারা হলেন
মিডিয়াকর্মী ও সাংবাদিক। সাংবাদিকদের বলা
হয় জাতির বিবেক।
সংবাদপত্রকে বলা হয়
সমাজের দর্পণ। তাই
সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের হতে
হবে দায়িত্ব সচেতন।
মিডিয়াকর্মীদের
হতে হবে আপন
দায়িত্ব সম্পর্কে পূর্ণ
সজাগ।
মানব
জীবনের আর সব
বিষয়ের মতো ইসলাম
এ ব্যাপারেও সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। ইসলামের আদর্শের দাবি,
মানুষের সামনে সংবাদ
তুলে ধরতে হবে
সঠিক সংখ্যা ও
পরিসংখ্যান দিয়ে। রক্ষা
করতে হবে সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা। কারো
ক্রিড়নক হয়ে বা
ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার
জন্য কারো বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো
যাবে না। সাংবাদিক ও
মিডিয়াকর্মীদের
সতর্ক করে আল্লাহ
তা‘আলা বলেন,
﴿ وَلَا تَقۡفُ مَا لَيۡسَ لَكَ بِهِۦ عِلۡمٌۚ إِنَّ ٱلسَّمۡعَ
وَٱلۡبَصَرَ وَٱلۡفُؤَادَ كُلُّ أُوْلَٰٓئِكَ كَانَ عَنۡهُ مَسُۡٔولٗا ٣٦ ﴾
[الاسراء: ٣٦]
‘আর যে বিষয় তোমার জানা নেই তার অনুসরণ করো না। নিশ্চয় কান, চোখ ও অন্তকরণ- এদের প্রতিটির ব্যাপারে সে জিজ্ঞাসিত হবে।’ {সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত : ৩৬}
সমাজের
প্রতি আমাদের সবারই
দায়বদ্ধতা রয়েছে। যাচ্ছে
তাই লেখা যাবে
না। যা শুনলাম
তাই প্রচার করা
যাবে না। মিডিয়ার কাছে
এমন কিছু প্রচার
কাম্য নয়, যাতে
মন্দ ছাড়া ভালো
কিছু নেই। মিডিয়া হয়তো
অনেক ক্ষমতাধর। শক্তিমানরাও ভয়
পায় সাংবাদিককে। তাই
বলে মিডিয়ার শক্তির
অপপ্রয়োগ করা যাবে
না। আমরা হয়তো
সরকার বা রাষ্ট্রকে ফাঁকি
দিতে পারি আল্লাহ
ও আখেরাতে বিশ্বাসীমাত্রেই ভুলে
গেলে চলবে না
একদিন আমাকেও হিসাবের সম্মুখীন হতে
হবে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ
করেন,
﴿ وَقِفُوهُمۡۖ إِنَّهُم مَّسُۡٔولُونَ ٢٤ ﴾ [الصافات: ٢٤]
‘আর তাদেরকে থামাও, অবশ্যই তারা জিজ্ঞাসিত হবে।’ {সূরা আস-সাফফাত, আয়াত : ২৪}
কারো
প্রশংসা করতে গিয়ে
অতিরঞ্জন করা যাবে
না। তেমনি কারো
কুৎসা গাইতে গিয়েও
সীমা লঙ্ঘন করা
যাবে না। কথা
বলতে হবে সততা
ও নিরপেক্ষতার সাথে।
সাংবাদিক কারো পক্ষ
নন। হ্যাঁ, পক্ষ
কেবল সত্যের। সুতরাং
পছন্দের দল-মতের
প্রশংসায় অতিরঞ্জন কিংবা
বিপক্ষ দল-মতের
বিরুদ্ধে অসত্য কথন-
কোনোটাই কাম্য নয়।
আল্লাহর নির্দেশ অমান্য
করে আমরা এমনটি
করি বলেই সমাজে
এতো বিভেদ আর
হানাহানি। তিনি ইরশাদ
করেন,
﴿ وَإِذَا قُلۡتُمۡ فَٱعۡدِلُواْ ﴾ [الانعام: ١٥٢]
‘আর যখন তোমরা কথা বলবে, তখন ইনসাফ করো।’ {আন‘আম: ১৫২}
যা
বলা হবে, যা
লেখা হবে বা
যা-ই দেখানো
হবে সেখানে ইনসাফ
ও ন্যায়ের ওপর
অবিচল থাকতে হবে।
সত্য ও সততার
প্রতি নিষ্ঠা দেখাতে
হবে। আর অবশ্যই
নেতিবাচকতা এড়িয়ে চলার
চেষ্টা করতে হবে।
অগ্রাধিকার দিতে হবে
ইতিবাচকতাকে। খারাপ শব্দ
ও খারাপ দৃশ্য
এড়িয়ে যাবার চেষ্টা
করতে হবে যেকোনো
মূল্যে। দূরে থাকতে
হবে অশ্লীলতা ও
বেলেল্লাপনা থেকে। সচেষ্ট
হবে মার্জিত শব্দ
ও নির্দোষ চিত্র
তুলে ধরতে। আল্লাহ
তা‘আলা তাঁর
নবীর মাধ্যমে আমাদের
বলছেন,
﴿ وَقُل لِّعِبَادِي يَقُولُواْ ٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُۚ إِنَّ
ٱلشَّيۡطَٰنَ يَنزَغُ بَيۡنَهُمۡۚ إِنَّ ٱلشَّيۡطَٰنَ كَانَ لِلۡإِنسَٰنِ عَدُوّٗا
مُّبِينٗا ٥٣ ﴾ [الاسراء: ٥٣]
‘আর আমার বান্দাদেরকে বল, তারা যেন এমন কথা বলে, যা অতি সুন্দর। নিশ্চয় শয়তান তাদের মধ্যে বৈরিতা সৃষ্টি করে; নিশ্চয় শয়তান মানুষের স্পষ্ট শত্রু।’ {সূরা বানী ইসরাঈল, আয়াত : ৫৩}
আল্লাহ
তা‘আলা আরো
ইরশাদ করেন,
﴿ ٱدۡعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِٱلۡحِكۡمَةِ وَٱلۡمَوۡعِظَةِ
ٱلۡحَسَنَةِۖ وَجَٰدِلۡهُم بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعۡلَمُ
بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِۦ وَهُوَ أَعۡلَمُ بِٱلۡمُهۡتَدِينَ ١٢٥ ﴾ [النحل:
١٢٥]
‘তুমি তোমরা রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর। নিশ্চয় একমাত্র তোমার রবই জানেন কে তার পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়েছে এবং হিদায়াতপ্রাপ্তদের তিনি খুব ভাল করেই জানেন।’ {সূরা আন-নাহল, আয়াত : ১২৫}
অশ্লীল
ও মন্দ কথা
এবং অপ্রয়োজনীয় কথা
ও কর্মের সমালোচনা করে
আল্লাহ তা‘আলা
বলেন,
﴿ وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَشۡتَرِي لَهۡوَ ٱلۡحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن
سَبِيلِ ٱللَّهِ بِغَيۡرِ عِلۡمٖ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًاۚ أُوْلَٰٓئِكَ لَهُمۡ
عَذَابٞ مُّهِينٞ ٦ ﴾ [لقمان: ٦]
‘আর মানুষের মধ্য থেকে কেউ কেউ না জেনে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বেহুদা কথা খরিদ করে, আর তারা ঐগুলোকে হাসি-ঠাট্টা হিসেবে গ্রহণ করে; তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর আযাব।’ {সূরা লুকমান, আয়াত : ৬}
এখানে
বেহুদা কথা বলে
গান-বাজনা ও
বাদ্যযন্ত্রকে
বুঝানো হয়েছে। নীতি-নৈতিকতাহীন যাবতীয় প্রচারণাও এর
অন্তর্ভুক্ত।
অতএব
আমরা যে সমাজে
বাস করি, যে
সমাজটাকে আমরা শান্তির বাগান
বানাতে চাই, তাকে
ভালো করতে হলে,
নিরাপদ ও সুখময়
হিসেবে গড়ে তুলতে
হলে অন্যদের মতো
সাংবাদিক ভাইদেরও সৎ,
আদর্শবান ও আপসহীন
হতে হবে। সমাজের
সবাইকে হতে হবে
সত্যনিষ্ঠ এবং অবশ্যই
আল্লাহর অনুগত বান্দা। ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং
আল্লাহর ভয় ছাড়া
কাঙ্ক্ষিত সমাজের স্বপ্ন
অধরাই থেকে যাবে।
সূত্রঃ ইসলাম
হাউজ ওয়েবসাই
No comments:
Post a Comment