Aassalamu alikum how are you I hope you are all well. All the praise to Allah subhanahu oatala.I am Abu Saeid Studying MS in Food Processing and Preservation in Hajee Muhammad Danesh Science and Technology University, Dinajpur. Stay in Zia hall room no#226# 1st floor in HSTU campus, Basher hat, Dinajpur.

POSTS\\\\

Wednesday, January 29, 2014

গণিতের সপ্ত কৌতুক

গণিতের সপ্ত কৌতুক

 
১। ছোট্ট কৌতুক বা কথন
১. গণিতবিদরা কখনো মরেন না, তারা তাদের কিছু ফাংশান (f) হারান মাত্র।
২. একজন গণিতবিদ কখন সবচেয়ে বেশি অপমান বোধ করে?
যখন বলা হয়, “তোমার ব্রেন এপসাইলনের চেয়েও ছোট।”
৩. ০ যখন ৪ কে দেখে, তখন কী বলে?
আরে, আরে তোমার বেল্টটা তো খুব সুন্দর!
৪. পৃথিবীতে ১০ রকমের মানুষ রয়েছেঃ যারা বাইনারী বুঝে এবং যারা বাইনারী বুঝে না।
৫. “আজকালকার শিক্ষার্থীরা গণিত এত কম জানে, খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার।” দুঃখ প্রকাশ করে বলেন এক প্রফেসর, “এই তো সেদিন, এক ছাত্র এসে জানতে চাইল, স্যার, জেনারেল ক্যালকুলাস (General Calculus) কি রোমান বীর ছিলেন?”
৬. ছোট বুশ যখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, তখন হোয়াইট হাউসের এক প্রেস কনফারেন্সে গণিতবিদ এবং কম্পিউটার প্রকৌশলীদের তুলোধুনা করে বলেন, “এরা ক্লাসরুমে নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে ডেমোক্রেটদের এজেন্ডার পক্ষে কাজ করে। দেশের প্রতিটি গণিত বা কম্পিউটার প্রকৌশল ডিপার্টমেন্ট অ্যালগোরিদম (AlGore-ithm)-এর কোর্স পড়ায়, কিন্তু কেউ কখনো জর্জ-বুশিদম (GeorgeBush-ithm) পড়ায় না।”
৭. ছোট বুশ বিদেশ সফরে আলজেরিয়াতে (Algeria) গেছেন। সফরসূচীর অংশ হিসেবে আলজেরীয়বাসীর সামনে এক ভাষণ দিলেন: “আপনারা জানেন, আমার খুব খারাপ লাগছে ইংরেজিতে কথা বলতে। খুব ভালো লাগত আপনাদের মাতৃভাষায় ভাষণটি দিতে পারলে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ অ্যালজেব্রা আমি ভালো বুঝি না।”

২। গণিতের হোমওয়ার্ক না করার টপ সেভেন অজুহাতঃ
১. আমি ভুলবশতঃ জিরো (০) দিয়ে ভাগ করে ফেলেছিলাম, ফলে আমার বই খাতা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
২. আমি আমার বইয়ের যথেচ্ছ কাছে (arbitrarily close) যেতে পেরেছিলাম, কিন্তু বাস্তবিকপক্ষে তার নাগাল পাইনি।
৩. সমাধানটি আমি প্রমাণ করেছি, কিন্তু খাতার মার্জিনে এটি লেখার মতো যথেষ্ট জায়গা ছিল না।
৪. আমি বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট সিরিজ দেখছিলাম এবং সিরিজটি কনভার্জেন্ট (convergent) কিনা তা প্রমাণ করার চেষ্টা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম।
৫. আমার ক্যালকুলেটরটি সৌরচালিত, কিন্তু গতকাল সারা দিন বৃষ্টি হয়েছিল।
৬. আমি হোমওয়ার্কটি ড্রয়ারে তালা দিয়ে রেখেছিলাম, কিন্তু একটি চতুর্মাত্রিক কুকুর (four-dimensional dog ) এসে তা খেয়ে ফেলেছে।
৭. আমি আসলে বুঝতে পারছিলাম না “i am the square of negative one”, নাকি “i is the square root of negative one.”

সংবিধিবদ্ধ সতর্কতাঃ ব্লগের গণিত বিষয়ক কোনো পোস্টে এসব অজুহাত গ্রহণযোগ্য হবে না!
৩। গণিতের এক ছাত্রকে তার হোমওয়ার্ক অ্যাসাইন্টমেন্ট দেখানোর জন্য বেশ জোরাজুরি করছে সহপাঠী। কিন্তু ছাত্রটি ভয় পাচ্ছে; একে তো এটি অন্যায়, তারপর ধরা পড়লে অন্যায়ের সাহায্যকারী হিসেবে শাস্তি পেতে হতে পারে শিক্ষকের কাছে। এসব ব্যাপারে শিক্ষক খুব কড়া।
সহপাঠী তাকে আশ্বস্ত করে, “চিন্তা করিস না, স্যার ধরতেই পারবেন না। আমি ধ্রুবক আর চলকগুলি সরাসরি কপি না করে চেঞ্জ করে লিখব। ধর্, a কে লিখব b, x কে y,…”
ছাত্রটি খুব আশ্বস্ত না হলেও ছাড়া পাওয়ার জন্য অ্যাসাইন্টমেন্ট কপি করার জন্য দিলো। ডেডলাইন শেষ হবার পর ছাত্র সহপাঠীকে জিজ্ঞেস করল, “কিরে, ঠিক মতো লিখতে পেরেছিস তো?”
“হ্যাঁ,” দাঁত বের করে জবাব দেয় সহপাঠী, “তুই যখন একটা ফাংশনকে f লিখেছিস, আমি তাকে g লিখেছি। তুই যখন কোনো চলককে লিখেছিস x, আমি চেঞ্জ করে লিখেছি y। তুই যখন লিখেছিস log (x+1), আমি সেটাকে লিখেছি timber (x+1)…”

৪। বেলুনে ভ্রমণরত এক লোক হঠাৎ আবিষ্কার করল সে পথ হারিয়ে ফেলেছে। বেলুনকে একটু নিচে নামিয়ে সে চিৎকার দিল, “হাই, আমাকে একটু সাহায্য করতে পার? এক ঘন্টা আগে এক বন্ধুর সাথে দেখা করার কথা ছিল আমার, কিন্তু পথ হারিয়ে ফেলায় আমি বুঝতে পারছি না কোথায় এসেছি।”
নিচের লোকটি জবাব দিল, “তুমি রয়েছে উষ্ণ এক বেলুনে, ভূমি থেকে ৩৫ ফুট উঁচুতে, ৫৫ থেকে ৫৬ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ২৯ থেকে ৩০ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমাংশের মধ্যে।”
“তুমি নিশ্চয়ই একজন গণিতবিদ।” বেলুনচারী বলে উঠে।
“হ্যাঁ, ঠিক ধরেছ তো! কিন্তু কীভাবে বুঝতে পারলে?” পথিক অবাক হয়ে উত্তর দেয়।
“হুম,” বেলুনচারী জবাব দেয়, “তোমার উত্তর গাণিতিকভাবে সঠিক, কিন্তু এসব তথ্য আমার কী কাজে লাগবে বুঝতে পারছি না। আসল ব্যাপার হল আমি এখনও আগের মতো পথ হারানো অবস্থায়ই রয়েছি। খোলাখুলি বললে, এখন পর্যন্ত তুমি খুব একটা উপকারে আসনি আমার।”

পথিক উত্তর দেয়, “তুমি নিশ্চয়ই এমবিএ পাশ করা ম্যানেজার।”
“হ্যাঁ, আমি তাই।” এবার বেলুনচারীর অবাক হবার পালা, “কিন্তু তুমি কীভাবে বুঝলে!”
পথিক উত্তর করে, “তুমি জান না তুমি কোথায় রয়েছ বা কোথায় যাচ্ছ। বন্ধুর কাছে তুমি এমন প্রতিজ্ঞা করেছ যা রক্ষা করার উপায়ও তোমার জানা নেই, কিন্তু আশা করছ তোমার সমস্যা আমি সমাধান করে দেব। আসল ব্যাপার হলো আমার সাথে সাক্ষাতের পূর্বে তুমি যেখানে ছিলে, সেখানেই রয়ে গেছ, কিন্তু কোনো ভাবে এটি এখন আমার দোষ হয়ে গেছে।”

৫। রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করতে গেছেন দুইজন গণিতবিদ। একজন অন্যজনকে বলেন, “বড়ই পরিতাপের বিষয় সাধারণ মানুষ গণিত খুব কম জানে।”
দ্বিতীয় জন তাতে একমত পোষণ না করে বলেন, “না, এ ঠিক নয়। অধিকাংশ মানুষ যথেষ্ট পরিমাণে গণিত বুঝতে পারে। আমি তোমাকে প্রমাণ করে দিতে পারি।”

খানিক পর প্রথম গণিতবিদ প্রক্ষালন কক্ষের দিকে গেলে, দ্বিতীয় জন দ্রুত হাতের ইশারায় ওয়েইট্রেসকে ডাকেন। মেয়েটি কাছে এলে তার হাতে ১০ ডলারের একটি নোট দিয়ে তিনি বলেন তার বন্ধু ফিরে আসলে আবারও তাকে ডাকবেন তিনি এবং একটি প্রশ্ন করবেন। ওয়েইট্রেসের তখন শুধু বলতে হবে, “ওয়ান থার্ড এক্স কিউবড।”
মেয়েটি রিপিট করে, “ওয়ান থার…ডেক্স কিউ?”
গণিতবিদ শুধরে দেন, “ওয়ান থার্ড এক্স কিউবড।”.
মেয়েটি প্রশ্ন করে, “ওয়ান থার ডেক্স কিউবড?”
“হ্যাঁ, এবার ঠিক আছে।” গণিতবিদ আশ্বস্ত হয়।
“ওয়ান থার ডেক্স কিউবড, ওয়ান থার ডেক্স কিউবড…” বিড়বিড় করতে করতে ওয়েইট্রেস সরে যায়।

প্রথম গণিতবিদ ফিরে আসলে দ্বিতীয়জন তাকে বাজির প্রস্তাব করেন, অধিকাংশ লোকই যে ভালো গণিত বুঝে এটি প্রমাণ করার জন্য। তিনি বলেন, “আমি ওয়েইট্রেসকে ডেকে একটি প্রশ্ন করছি। ঠিক আছে?” প্রথমজন কৌতুকপূর্ণ হাসিতে রাজি হন।
দ্বিতীয় জন ওয়েইট্রেসকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, “আচ্ছা, বলতো x এর সাপেক্ষে x^2 এর ইন্টেগ্রাল কত?”
ওয়েইট্রেস জবাব দেয়, “ওয়ান থার ডেক্স কিউবড [1/3*x^3]। উজ্জ্বল হয়ে যায় দ্বিতীয় জনের মুখ। টেবিল থেকে চলে যেতে যেতে ঘাড়ের উপর দিয়ে পিছন ফিরে তাকায় ওয়েইট্রেস, আর চোখ টিপে বলে, “প্লাস একটি কনস্ট্যান্ট!”"

৬। স্বনামধন্য এক পরিসংখ্যানবিদ কন্ডি, কখনো প্লেনে চড়েন না, কারণ সারা বিশ্বের উড্ডয়ন পরিসংখ্যান ঘেঁটে তিনি দেখেছেন যেকোনো বিমানে একটি বোমা থাকার সম্ভাব্যতা ১/১০০,০০০। সম্ভাব্যতাটি তার কাছে বেশি মনে হয়, ফলে এর উপর ভিত্তি করে জীবনের ঝুঁকি নিতে তিনি রাজী নন।
একদিন দূরের এক কনফারেন্সে যোগদানের আমন্ত্রণ পান কন্ডি। সেখানে দেখা হয় বান্ধবীর সাথে।
“হাই কন্ডি, ট্রেন ভ্রমণ কেমন হলো? বন পাহাড়ের ভেতর দিয়ে নিশ্চয়ই চমৎকার সময় কেটেছে।” বান্ধবী জানতে চান।
“আমি আসলে প্লেনে করে এসেছি এবার।” মুচকি হেসে জবাব দেন কন্ডি।
“আরে, তাই নাকি!” অবাক হন বান্ধবী। “তা, তুমি না সব সময় প্লেনে একটা বোমার কথা বলতে?”
“হ্যাঁ, আমি হিসেব করে দেখলাম কোনো প্লেনে ১টি বোমা থাকার সম্ভাবনা যদি ১/১০০,০০০ হয়, তাহলে ২টি বোমা থাকার সম্ভাবনা—তুমি তো স্বাধীন সম্ভাব্যতার সূত্র জানো—(১/১০০,০০০) × (১/১০০,০০০) বা ০.০০০০০০০০০১। এটি এত ক্ষুদ্র সম্ভাবনা যে এর উপর ভিত্তি করে ঝুঁকি নেয়া যায়।”
“কিন্তু ২টি বোমার কথা আসছে কেন?”
“কতই না বোকা ছিলাম আমি, এত দিন ব্যাপারটি আগে মাথায় আসেনি!” জবাব দেন কন্ডি, “শোনো প্রিয় বান্ধবী, এবারে প্লেনে আসার সময় ঝুঁকি কমানোর জন্য আমি সাথে করে একটা বোমা নিয়ে এসেছি।”

৭। মেডিক্যালের এক ছাত্র উচ্চতর ক্যালকুলাসে ফেইল করে প্রফেসরের কাছে গিয়ে ক্ষোভ ঝাড়ে, “হেই, ছাতার এই অঙ্ক করে আমার কি লাভ? আমি কেন ক্যালকুলাস পড়ব? এমন তো না যে আমি ডাক্তার হলে ক্যালকুলাস আমার হাতি ঘোড়া উপকার করবে!”
প্রফেসর শান্তভাবে উত্তর দেন, “আসলে তুমি যা বলেছ ঠিক নয়। ক্যালকুলাস মানুষের প্রাণ বাঁচায়।”
“কীভাবে? দেখান দেখি!” ছাত্র জানতে চায়।
“খুব সোজা। ডাক্তার হওয়ার মতো যোগ্যতা যাদের নেই, ক্যালকুলাসের কারণে আগে থেকেই তারা মেডিক্যাল স্কুল থেকে ঝরে পড়ে।”

Monday, January 27, 2014

চাকরি প্রাপ্তির কিছু কার্যকর কৌশল



চাকরি প্রাপ্তির কিছু কার্যকর কৌশল..................আত্মউন্নয়ন মূলক পোস্ট
পড়ে দেখুন হয়ত কাজেও লেগে যেতে পারে ...
▬▬▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬▬▬

সদ্য পাস করে যারা এখন চাকরির বাজারে প্রবেশ করছেন তারা মূলত বাস্তব জগতে পা রাখতে যাচ্ছেন। এটি মূলত নিজস্ব ক্যারিয়ার গঠনের সময়। এটি একটি পিচ্ছিল রাস্তা। অসাবধানতার কারণে যে কেউ পা পিছলে পড়ে যেতে পারে আর তাতে ক্যারিয়ারে নামতে পারে বড় ধরনের ধস। যে কোনো প্রতিষ্ঠানে মেধাবী ও চ্যালেঞ্জিং প্রফেশনালদের চাহিদা ব্যাপক। এখন প্রশ্ন হতে পারে কিভাবে নিজেকে চাহিদাসম্পন্ন কর্মী হিসেবে গড়ে তুলবেন। এর উত্তর একটাই- সেটা হলো কৌশল। এই কৌশলই বিশ্বের সফল ব্যক্তিদের বড় বড় সাফল্যের কারণ। তাই যারা চাকরির বাজারে প্রবেশ করেছেন তাদের নিম্নোক্ত কৌশলগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে


কৌশল-১ :
শিক্ষা জীবন শেষ হওয়ার আগেই প্রত্যেকের যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। প্রত্যেকেই যখন তার ক্যারিয়ার নির্ধারণ করতে চাইবে তখন তার নিজস্ব যোগ্যতা, দুর্বলতা, পছন্দ-অপছন্দ ইত্যাদি নিয়ে ভাবতে হবে। যার যে বিষয়ে বিশেষ পছন্দ আছে সে বিষয় সম্পর্কে আগেই খোঁজ-খবর নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। নিজ নিজ পছন্দ এবং যোগ্যতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রকাশ করতে হবে।

কৌশল-২ :
দ্রুত চাকরি তারাই পান যারা তাদের মেধা, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে সঠিকক্ষেত্রে সঠিকমাত্রায় প্রয়োগ বা উপস্থাপন করতে পারেন। এই প্রয়োগ করার পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে যত বেশি উদ্যোগ গ্রহণ করবেন আপনার মেধা ব্যবহারের ক্ষমতা ও কৌশল ততো বেশি বৃদ্ধি পাবে।

কৌশল-৩ :
যেখানেই চাকরির দরখাস্ত করুন না কেন অবশ্যই সংশ্লিষ্ট পেশা বা চাকরি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় খোঁজ খবর রাখবেন। সবচেয়ে বিবেচ্য বিষয় হলো সেটা আপনার জন্য কতটা উপযোগী তা যাচাই করবেন। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর প্রার্থী বাছাইয়ের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আপনার দক্ষতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটাতে হবে।

কৌশল-৪ :
চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আর একটি বিষয় হলো নেটওয়ার্কিং। নিজস্ব কোনো সুপ্ত মেধা থাকলে তার বিকাশ ঘটিয়ে, বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে যারা আগে চাকরি পেয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে, নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাহচর্য এবং প্রতিবেশী, যারা চাকরিজীবী তাদের সাহচর্যে যেতে হবে। যদি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকে তাদের তা জানাতে হবে। আর তা না থাকলে তাদের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়ে রাখতে হবে।

কৌশল-৫ :
যতদূর সম্ভব সুন্দর এবং যুগপোযোগী পোশাক পরিধান করতে হবে। পোশাক পরিচ্ছদে মানুষের ব্যক্তিত্ব যেমন ফুটে ওঠে তেমনি স্মার্টনেসও বৃদ্ধি পায়। জীবনবৃত্তান্তে প্রদত্ত ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি সঠিক হওয়া বাঞ্ছনীয়। চাকরি প্রাপ্তিতে প্রাথীকে অবশ্যই পেশাগতভাবে দক্ষ হতে হবে। কেননা চাকরি প্রদানকারী কতৃপক্ষ পুরোপুরি ফ্রেস প্রার্থীদের চেয়ে অভিজ্ঞ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।

কৌশল-৬ :
হতাশ হওয়া যাবে না কোনো অবস্থাতেই। কারণ বাস্তব জগৎ যেমন কঠিন তেমনি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। দু একবার ব্যর্থ হয়ে হতাশ হলে চাকরি কপালে জুটবে না। তবে চাওয়া এবং পাওয়ার মধ্যে ব্যবধানটা অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমেই বাস্তব-সম্মত প্রত্যাশা থাকা উচিত। আকাশ কুসুম কল্পনা যেমন সম্ভব নয় তেমনি তা করাও উচিত নয়। প্রথমেই ফুল টাইম চাকরি না পেলে পার্ট টাইম চাকরি পেলেও করতে হবে। এক্ষেত্রে যে সুবিধা সেটা হলো হতাশা কিছুটা কাটবে। তবে তার চেয়েও বড় কথা অভিজ্ঞতা অর্জিত হবে, যা একজন প্রার্থীর চাকরির জন্য বিশেষ প্রয়োজন। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে প্রত্যাশা পূরণ হওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা কতটুকু কাজে দিবে। যদি তা ভিন্ন ধরনের হয় তাহলে গভীর চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।

কৌশল-৭ :
সুযোগ চিনে নেওয়ার ক্ষমতাও (ability to recognize opportunity) চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় বিচক্ষণতা। যারা এক্ষেত্রে দ্রুত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারাই ভালো ভালো অফারগুলো গ্রহণ করে। বলাবাহুল্য সিদ্ধান্তহীনতায় অনেক সুযোগ নষ্ট হয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের এই অক্ষমতা (inability of decison making) কারো কারো ক্রমেই অভ্যাসে পরিণত হয়।

কৌশল-৮ :
সুযোগ চিনে নিতে হলে চ্যালেঞ্জিং-এর মানসিকতা থাকতে হয়। সংশ্লিষ্ট চাকরি বা পেশার বিভিন্ন দিক বিচার-বিবেচনা করে ঝুঁকি নিতে হয়। চাকরিতে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে ঝুঁকি নেয়ার জন্য আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ অনেকসময় মানসিক দৃঢ়তা ও সাহস বড় বড় সাফল্য এনে দেয়।

সর্বোপরি বলা যায়, সমসাময়িক বিশ্ব পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিকতার সাথে তাল মিলিয়ে চাকরির বাজারেও আপনাকে নিতে হবে নতুন নতুন কৌশলের আশ্রয়। প্রতিনিয়ত সনাতনি চিন্তাধারার বিলুপ্তি ঘটছে। আসছে নতুন চিন্তা, নতুন চেতনা। আপনার নিজের যোগ্যতা, চাকরির বাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি, চাকরিদাতাদের চাহিদা ও মনোভাব ইত্যাদি বিষয়গুলো সঠিক সমন্বয় সাধনের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনায় রাখতে হবে। চাকরি দাতাদের কাছে আপনার সঠিক উপস্থাপনটা যতো কৌশলের সাথে তথা ভালোভাবে করতে পারবেন আপনার চাকরিও তত দ্রুত হওয়ার পথ সুগম হবে।

সংগ্রহীত ...

Sunday, January 19, 2014

Remove Shortcut Virus



Remove Shortcut Virus Using Command    Prompt or CMD

The most effective method to remove this deadly virus from usb flash drive is through CMD. Connect your shortcut virus infected USB to your computer. Now click on start button and search for “CMD”. Right click on cmd.exe and click on “run as administrator”. Once CMD window is opened, type your drive letter like if your drive letter is “f” then type “f:” in CMD and hit enter.
Now next type “del *lnk” (without the commas) and hit enter. Once done, type the command below followed by Enter key to finish the process.
attrib –s –r –h *.* /s /d /l
Yep, that’s it. Now check your USB flash drive again. You will be amazed to see all your folders recovered. That was most effective method to remove shortcut virus from computer. Incase you didn’t like it, you can try any good antivirus program like Avast, AVG and Kaspersky to remove shortcut virus from usb flash drive or memory card.

Saturday, January 18, 2014

ঈমানের শাখা সমূহ


ঈমানের শাখা সমূহ


প্রশ্নঃ আলেমগণ ঈমানের যে সমস্ত শাখা বর্ণনা করেছেন তার সারাংশ বর্ণনা করুনundefined
উত্তরঃ  ইবনে হিব্বান (রঃ) কর্তৃক বর্ণিত ঈমানের শাখাগুলো হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী সহীহ বুখারীর ভাষ্যগ্রন্থ ফতহুল বারীতে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেছেন। এই শাখাগুলো তিন প্রকার। যথা:
(১) এমন কিছু শাখা আছে যা অন্তরের সাথে সম্পৃক্ত।
(২) কতিপয় শাখা জবানের সাথে সম্পৃক্ত এবং
 (৩) এমন কতিপয় শাখা রয়েছে, শরীরের সাথে সম্পৃক্ত।
প্রথমতঃ অন্তরের কাজসমূহ
নিয়ত ও বিশ্বাস হচ্ছে অন্তরের কাজ। ঈমানের যেসমস্ত শাখা অন্তরের সাথে সম্পৃক্ত তার সংখ্যা ২৪টি। নিম্নে তা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হল।
(১) আল্লাহর প্রতি ঈমান। আল্লাহর যাত (স্বত্তা), সিফাত (গুণাবলী) এবং একত্ববাদের প্রতি ঈমান আনয়নও আল্লাহর প্রতি ঈমানের অন্তর্ভূক্ত। তবে স্মরণ রাখা জরুরী যে, আল্লাহ্ স্বীয় সত্বা ও গুণাবলী কোন সৃষ্টির মত নয়। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَ هُوَ السَّميْعُ الْبَصِيْر
“কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি শুনেন এবং দেখেন”। (সূরা শুরাঃ ১১)
(২) এই বিশ্বাস করা যে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যান্য সকল বস্তুই ধ্বংসশীল।
(৩) এমনিভাবে আল্লাহর ফেরেশতা
(৪) আসমানী কিতাব
(৫) নবী-রাসূল
(৬) তাকদীরের ভালমন্দ এবং
(৭) আখেরাতের প্রতি ঈমান। কবরের প্রশ্নোত্তর, পুনরুত্থান, হিসাব, আমলনামা প্রদান, মীযান (দাঁড়িপাল্লা), পুলসিরাত, জান্নাত এবং জাহান্নামের প্রতি ঈমান আনয়ন করাও অন্তরের কাজ সমূহের অন্তর্ভূক্ত।
(৮) আল্লাহকে ভালবাসা,আল্লাহর জন্যেই কাউকে ভালবাসা,আল্লাহর জন্যেই কাউকে ঘৃণা করা,
(৯) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ভালবাসা ও তাঁকে সম্মান করাও অন্তরের কাজ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর উপর দরূদ পাঠ ও তাঁকে ভালবাসা ও সম্মান প্রদর্শন তার অন্তর্ভূক্ত।
(১০) তাঁর সুন্নাতের অনুসরণ করা
(১১) একনিষ্ঠতার সাথে আল্লাহর এবাদত করা আবশ্যক-এর প্রতি ঈমান আনয়নও অন্তরের কাজের অন্তর্ভূক্ত। রিয়া তথা লোক দেখানো আমল ও মুনাফেকী পরিহার করাও এর অন্তর্ভূক্ত।
(১২) তাওবা করা
(১৩) আল্লাহকে ভয় করা
(১৪) আল্লাহর রহমতের আশা রাখা
(১৫) আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা
(১৬) ওয়াদা অঙ্গিকার পূর্ণ করা
(১৭) ধৈর্য ধারণ করা
(১৮) তাকদীরের লিখনের উপর সন্তুষ্ট থাকা
(১৯) আল্লাহর উপর ভরসা করা
(২০) বিনয়-নম্রতা প্রদর্শ করা,বড়কে সম্মান করা ও ছোটকে স্নেহ করাও এর অন্তর্ভূক্ত
(২১) অহঙ্কার ও তাকাব্বরী বর্জন করা
(২২) হিংসা বর্জন করা
(২৩) কাউকে ঘৃণা না করা এবং
(২৪) ক্রোধ বর্জন করা।
দ্বিতীয়তঃ জবানের কাজসমূহ তথা জবান দ্বারা উচ্চারিত শব্দ ও বাক্যসমূহ
ঈমানের শাখাসমূহের মধ্যে থেকে যেগুলোর সম্পর্ক জবানের সাথে তার সংখ্যা হল সাতটি। যথা:
(১) তাওহীদের বাক্য অর্থাৎ মুখে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ উচ্চারণ করা
(২) কুরআন তেলাওয়াত করা
(৩) ইলম শিক্ষা করা
(৪) অপরকে ইলম শিক্ষা দেয়া
(৫) দু’আ করা
(৬) যিকির করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করাও এর অন্তর্ভূক্ত
(৭) অযথা কথা-বার্তা থেকে বিরত থাকা।
তৃতীয়তঃ শরীরের কাজসমূহ
 ঈমানের শাখাসমূহের মধ্যে থেকে যেগুলোর সম্পর্ক শরীরের সাথে,তার সংখ্যা হল ৩৮টি। এ শাখাগুলো আবার তিন ভাগে বিভক্ত। যথা:
  • (ক) কতিপয় শাখা ব্যক্তি বিশেষের সাথে সম্পৃক্ত। এগুলোর সংখ্যা পনেরটি। যথা:
(১) বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ পবিত্রতা অর্জন করা
(২) মিসকীন ও অসহায়কে খাদ্য দান করা
(৩) মেহমানের সম্মান করা
(৪) ফরজ রোজা পালন করা
(৫) নফল রোযা পালন করা
(৬) ইতেকাফ করা
(৭) লাইলাতুল কদর অন্বেষণ করা
(৮) হজ্জ পালন করা
(৯) উমরা পালন করা
(১০) কাবা ঘরের তাওয়াফ করা
(১১) দ্বীন ও ঈমান নিয়ে টিকে থাকার জন্যে দেশ ত্যাগ
(১২) দ্বীন ও ঈমান বাঁচানোর জন্যে কাফের রাষ্ট্র ত্যাগ করে ইসলামী রাজ্যে চলে যাওয়া
(১৩) মানত পূর্ণ করা
(১৪) ঈমান বৃদ্ধির চেষ্টা করা ও
(১৫) কাফ্ফারা আদায় করা।
  • (খ) কতিপয় শাখা আছে,যা ব্যক্তির সাথে সংশ্লিষ্টদের সাথে সম্পৃক্ত এগুলোর সংখ্যা মোট ৬টি। যথা:
(১) বিবাহের মাধ্যমে চরিত্র পবিত্র রাখা
(৬) পরিবারের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করা
(৩) পিতা-মাতার সেবা করা,তাদের অবাধ্য না হওয়া
(৪) সন্তান প্রতিপালন করা
(৫) আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা
(৬) মনিবের প্রতি অনুগত থাকা ও অধীনস্তদের সাথে নরম ব্যবহার করা।
  • (গ) এমন কতিপয় শাখা রয়েছে,যা সকল মুসলমানের সাথে সম্পৃক্ত। এগুলোর সংখ্যা হচ্ছে ১৭টি। যথা:
(১) ইনসাফের সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করা
(২) মুসলিম জামাআতের অনুসরণ করা,
(৩) শাসকদের আনুগত্য করা
(৪) মানুষের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ মিটিয়ে দেয়া। বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাও এর অন্তর্ভূক্ত
(৫) সৎকাজে পরস্পর সহযোগিতা করা,সৎকাজের আদেশ দেয়া এবং অসৎকাজের নিষেধ করাও এর অন্তর্ভূক্ত
(৬) দণ্ডবিধি কায়েম করা
(৭) আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করা ও ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানা পাহারা দেয়াও জেহাদের অন্তর্ভূক্ত
(৮) আমানত আদায় করা এবং গণীমতের মালের পাঁচভাগের একভাগ আদায় করাও এর অন্তর্ভূক্ত
(৯) ঋণ পরিশোধ করা
(১০) প্রতিবেশীর সম্মান করা
(১১) মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করা
(১২) হালালভাবে সম্পদ উপার্জন করা এবং বৈধ পন্থায় তা খরচ করা এবং অপচয় না করা
(১৩) সালামের উত্তর দেয়া
(১৪) হাঁচি দানকারীর উত্তর প্রদান করা
(১৫) মানুষের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকা
(১৬) খেলা-তামাশা থেকে বিরত থাকা ও
(১৭) রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিষ সরিয়ে দেয়া।
  এই হল ঈমানের ৬৯টি শাখা। কতিপয় শাখাকে অন্য শাখার সাথে একত্রিত গণনা না করে আলাদাভাবে হিসাব করলে ৭৭টি হবে। আল্লাহই ভাল জানেন।
উৎস: কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে দু শতাধিক প্রশ্নোত্তরে নাজাত প্রাপ্ত দলের আকীদা শীর্ষক কিতাব থেকে (প্রশ্ন নং-১৫৮)
লেখক: হাফেজ হাকামী রহ.
অনুবাদক: আব্দুল্লাহ শাহেদ মাদানী

 

আইইএলটিএস (IELTS) করার জন্য প্রয়োজনীয় সব তথ্য ... ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ......।



আইইএলটিএস (IELTS) করার জন্য প্রয়োজনীয় সব তথ্য ... ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ......।

আইইএলটিএস সম্পর্কে A টু Z ব্যাসিক তথ্য জানতে এই লেখাটা সবার পড়া উচিত ... নিজের জন্য না হোক অন্যকে পরামর্শ হলেও দিতে পারবেন ...
এর নিজের জন্য হলে অবশ্যই আপনার টাইম লাইনে সেইভ রাখবেন ...

আইইএলটিএস' হচ্ছে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার সনদ, যা আন্তর্জাতিকভাবে
স্বীকৃত IELTS (The International English Language Testing System) যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয় তাদের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষা কিংবা ভিসার আবেদন করতে ভালো আইইএলটিএস স্কোর থাকতে হয়। আইইএলটিএস পরীক্ষাপদ্ধতি দুই ধরনের, একাডেমিকজেনারেল। উচ্চশিক্ষায় বিদেশে যেতে ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের একাডেমিক আইইএলটিএস টেস্টে অংশ নিতে হয়। যে কেউ এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। এ জন্য কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই।

▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬

গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বজুড়ে

▬▬▬▬▬▬▬▬
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ সূত্রে জানা যায়, ১৪ লাখের বেশি শিক্ষার্থী ও পেশাজীবী উচ্চশিক্ষা ও চাকরির লক্ষ্যে প্রতিবছর আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ নেন। ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের এক্সামিনেশনস ডাইরেক্টর পিটার এশটন জানান, উচ্চশিক্ষা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশে ইমিগ্রেশনের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর থাকা বাধ্যতামূলক। গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে টোফেলের চেয়ে অনেক এগিয়ে আইইএলটিএস।
পরীক্ষা পরিচালনা
▬▬▬▬▬▬▬▬
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও আইডিপি অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে পরিচালনা করে আইইএলটিএস পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় নীতি নির্ধারক কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হলেও বিশ্বব্যাপরী পরীক্ষা পরিচালনা ও শিক্ষার্থীদের কাছে তথ্য পৌছে দেওয়ার মূল ভূমিকা পালন করছে বিট্রিশ কাউন্সিল ও আইডিপি অস্ট্রেলিয়া। সারা বিশ্বে একই প্রশ্নপত্র ও অভিন্ন নিয়মে পরিচালিত হয়।
কিছু ভুল ধারণা
▬▬▬▬▬▬▬▬
অনেকেই মনে করেন আইইএলটিএস অনেক কঠিন একটি পরীক্ষা। আসলে এটি ভুল ধারণা। ব্রিটিশ কাউন্সিল সূত্র মতে, ইংরেজিতে মোটামুটি দক্ষ হয়েও এ পরীক্ষায় ভালো স্কোর সম্ভব। যদিও যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া কিংবা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যেভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষা পরিচালিত হয় বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়।

পরীক্ষা পদ্ধতি
▬▬▬▬▬▬▬▬
দুটি মডিউলে আইইএলটিএস পরীক্ষা দেওয়া যায়। একাডেমিক এবং জেনারেল ট্রেনিং। স্নাতক, স্নাতকোত্তর অথবা পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য একাডেমিক মডিউলে পরীক্ষা দিতে হয়। কোনো কারিগরি বিষয় বা প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হলে সাধারণত জেনারেল ট্রেনিং মডিউলে পরীক্ষা দিতে হয়। এ ছাড়া সেকেন্ডারি স্কুলে ভর্তি এবং ইমিগ্রেশনের জন্য জেনারেল ট্রেনিং মডিউলে পরীক্ষা দিতে হবে। আইইএলটিএস পরীক্ষায় বসার আগে জেনে নিন কোন মডিউলে আপনাকে পরীক্ষা দিতে হবে। দুটো পদ্ধতিতে পার্থক্য খুব সামান্য। আইইএলটিএস পরীক্ষায় দুই ধরনের মডিউলেই চারটি অংশ থাকে।
Listening, Reading, Writing Speaking



লিসেনিং
(Listening)
▬▬▬▬▬▬▬▬
কথোপকথন শুনে বোঝার ক্ষমতা যাচাই করা হয় এ অংশে। চারটি বিভাগে মোট ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। আপনাকে একটা প্যাসেজ ইংরেজিতে বাজিয়ে শোনানো হবে, আর সামনে থাকবে প্রশ্নপত্র, ঐ শোনার ভিত্তিতে আপনাকে উত্তর করতে হবে, কী বোঝানো হয়েছে ঐ অডিও টেপে। মোটামুটি ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। শেষ ১০ মিনিটে উত্তরপত্রে উত্তর লিখতে হয়। একটি বিষয় কেবল একবারই বাজিয়ে শোনানো হয়। কোনো অংশ শুনে না বুঝতে পারলে সেটা নিয়ে আর মাথা না ঘামানোই ভালো। কারণ, এতে পরবর্তী প্রশ্নগুলোর উত্তর বুঝতে না পারার ঝুঁকি থাকে। সঠিক উত্তর বেছে নেওয়া, সংক্ষিপ্ত উত্তর, বাক্য পূরণ ইত্যাদি নানা ধরনের প্রশ্ন থাকতে পারে।

রিডিং
(Reading)
▬▬▬▬▬▬▬▬
অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের মতে IELTS এর সবগুলো পার্টের মধ্যে এটি কঠিন মনে হয়। এখানে তিনটি বিভাগে ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। সময় এক ঘণ্টা। Reading-এ টেস্ট করা হয় একটা প্যাসেজ পড়ে বোঝার ক্ষমতা। আপনাকে বিশাল বিশাল তিন-চারটা প্যারাগ্রাফ দেয়া হবে, তার থেকে আপনাকে অত্যন্ত সিম্পল সিম্পল উত্তর দিতে হবে। কিন্তু ঐ সিম্পল সিম্পল উত্তরগুলো আপনি সহজে পারবেন না, যদি না আপনি প্যাসেজটা ঠিকমতো বুঝতে পারেন। প্যাসেজটা আপনি ঠিকমতো বুঝতে হলে আপনাকে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে, আর তাহলে বাকি প্যাসেজে সময় কমে আসবে। এভাবেই এই সহজ পরীক্ষাটা সব পরীক্ষার্থীর জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অর্থাৎ এই পরীক্ষায় আপনি যদি কিছু কৌশল রপ্ত না করে চলে যান, তাহলে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে পারবেন না, সে আপনি যতই কনফিডেন্ট হোন না কেন? ইংরেজি মিডিয়ামের শিক্ষার্থীরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারেন। এখানেও বাক্য পূরণ, সংক্ষিপ্ত উত্তর, সঠিক উত্তর খুঁজে বের করা ইত্যাদি প্রশ্ন থাকবে। পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোয় দাগ দিয়ে রাখুন। উত্তর খুঁজে পেতে সুবিধা হবে।



রাইটিং
(Writing)
▬▬▬▬▬▬▬▬
এখানে যাচাই করা হয় আপনি কতটুকু কল্পনাশক্তি খাটাতে পারেন এবং একটা বিষয়ের উপরে লিখতে পারেন। এক ঘণ্টায় দুটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। দ্বিতীয় প্রশ্নটিতে প্রথম প্রশ্নের চেয়ে দ্বিগুণ নম্বর থাকে। এজন্য শুরুতেই দ্বিতীয় প্রশ্নটির উত্তর ভালোভাবে লিখতে পারেন। প্রথম প্রশ্নটিতে মোটামুটি ২০ মিনিট সময় দিতে পারেন। অন্তত ১৫০ শব্দের উত্তর লিখতে হবে। দ্বিতীয় প্রশ্নটির উত্তর দিতে ৪০ মিনিট নিতে পারেন। অন্তত ২৫০ শব্দ লিখতে হবে। শব্দসংখ্যা একটু বেশি হলে ক্ষতি নেই। কিন্তু কম হলে নম্বর কমে যাবে। প্রথম প্রশ্নটিতে সাধারণত কোনো চার্ট, ডায়াগ্রাম থাকে। এ থেকে নিজের কথায় বিশ্লেষণধর্মী উত্তর লিখতে হয়। দ্বিতীয় প্রশ্নটিতে সাধারণত কোনো বিষয়ের পক্ষে, বিপক্ষে মত বা যুক্তি উপস্থাপন করতে হয়।


স্পিকিং
(Speaking)
▬▬▬▬▬▬▬▬
এখানে কোনো লেখালেখী নেই। আপনাকে নির্দিষ্ট দিনে পরীক্ষাস্থলে (সাধারণত ব্রিটিশ কাউন্সিলে) যেতে হবে। সেখানে দু-তিনজন পরীক্ষকের সামনে আপনাকে বসতে হবে। তাঁরা আপনাকে বিভিন্নভাবে ইংরেজিতে প্রশ্ন করবেন, আপনি তাঁর উত্তর দিবেন। তিনটি অংশে মোটামুটি ১১ থেকে ১৪ মিনিটের পরীক্ষা হয়। প্রথম অংশে পরীক্ষার্থীকে কিছু সাধারণ প্রশ্ন করা হয়, যেমন - পরিবার, পড়াশোনা, কাজ, বন্ধু ইত্যাদি। চার থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে উত্তর দিতে হয়। দ্বিতীয় অংশে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে এবং দুই মিনিট কথা বলতে হয়। এর আগে চিন্তা করার জন্য এক মিনিট সময় দেওয়া হয়। তৃতীয় অংশে চার থেকে পাঁচ মিনিটের জন্য পরীক্ষকের সঙ্গে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে কথোপকথন চালাতে হয়।

উদাহরন:
Suppose, you have visited a Pharmaceutical company. Now would you please explain what did you see there?- মার্কা একটা প্রশ্ন করতে পারে।

প্রস্তুতি
▬▬▬▬
আইইএলটিএস পরীক্ষা নিয়ে উত্কণ্ঠার কিছু নেই। নিয়মিত প্রস্তুতি নিয়ে যথেষ্ট ভালো স্কোর করা সম্ভব। শুরুতেই আপনার লক্ষ্য ঠিক করে নিন। তবে ইংরেজিতে আপনার এত দিনকার যা দক্ষতা, সে অনুযায়ীই লক্ষ্য ঠিক করবেন। রাতারাতি ভালো স্কোর করা সম্ভব নয়। আবার ইংরেজিতে আপনি যথেষ্ট দক্ষ হলেও কোনো প্রস্তুতি ছাড়া পরীক্ষা দিয়ে আশানুরূপ স্কোর করা সম্ভব নয়। রোজকার কাজের মধ্যেই অন্তত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ রাখুন এ জন্য। কত দিন ধরে প্রস্তুতি নেবেন, এটা আপনার দক্ষতার ওপর নির্ভর করে। অন্তত তিন মাস সময় হাতে রাখা ভালো। প্রশ্নপত্র সমাধান করাটা প্রস্তুতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঘড়ি ধরে প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। সম্ভব হলে পরীক্ষার পরিবেশে একসঙ্গে সব অংশের পরীক্ষা দিন।
কেমব্রিজ থেকে প্রকাশিত আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নীলক্ষেতে কিনতে পাওয়া যায়। এগুলো সমাধান করুন। বাজারে অসংখ্য বই পাবেন। তবে সবই নির্ভরযোগ্য এ কথা বলা যায় না। এ পরীক্ষার জন্য কোচিং করবেন কি না এটা সম্পূর্ণ আপনার সিদ্ধান্ত। তবে যা-ই করুন বাড়িতে নিজে পড়াশোনা করতে হবে। আইইএলটিএস নিবন্ধনের সময় প্রস্তুতির জন্য দুটি ছোট বই দেওয়া হয়। এগুলো ভালোমতো পড়ুন ও সমাধান করুন। ব্যাকরণের অনেক খুঁটিনাটি জানতে পারবেন। আবার এমন অনেক বিষয়, যা স্কুল-কলেজে পড়েছেন কিন্তু এখন মনে নেই, তা ঝালিয়ে নিতে পারবেন। এ পরীক্ষা নিয়ে অনেকের কাছ থেকে অনেক রকম কথা শুনতে পাবেন। এতে দ্বিধা বা উত্কণ্ঠায় ভুগবেন না। আইইএলটিএস সম্পর্কে যেকোনো তথ্য পেতে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হলো ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং আইডিপি, বাংলাদেশ। ব্রিটিশ কাউন্সিলের লাইব্রেরিতে প্রস্তুতির জন্য প্রচুর ভালো বই পাবেন। তবে এগুলো ব্যবহারের জন্য লাইব্রেরির সদস্য হতে হবে। নীলক্ষেত থেকে যেনতেন বই কিনে অর্থ ও সময় নষ্ট না করাই ভালো। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, আইডিপি অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের সরাসরি তত্ত্বাবধানেই আইইএলটিএস হয়। তাদের কাছ থেকেই যখন সরাসরি তথ্য পাচ্ছেন, তখন অন্য কোথাও যাওয়াটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

বই পরিচিতি
▬▬▬▬
Listening: লিসেনিং-এর জন্য Cambridge-এর সিরিজ আছে। খুব ভালো। তবে প্রথম দুটো (মানে 1 এবং 2 খুব সাধারণ মানের)। ভালো কিছু শেখা যাবে 3, 4, 5, 6 -এই বইগুলো থেকে। এই বইগুলো CD-সহ কিনতে হবে। অথবা কারো থেকে পেনড্রাইভে সফ্‌ট কপিও সংগ্রহ করে নিতে পারেন।

Reading:
অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের মতে রিডিং-এর জন্য Saifur’s-এর বইটা সহজ এবং বোধগম্য।
Writing: রাইটিং-এর জন্য ভালো বই হচ্ছে Moniruzzaman’s IELTS Writing বইটি।
Speaking: স্পীকিং-এর জন্য Khan’s Cue-Card 1 এবং 2 বেশ কার্যকরী।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
অথবা এই ডিভিডি গুলো সংগ্রহ করতে পারেন ...
এই ডিভিডি গুলো আপনাকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করতে পারবে ...
বিশ্বাস না হলে এই লিংকে ক্লিক করে দেখুন
http://tanbircox.blogspot.com/2013/04/Complete-Solution-of-your-Education.html
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
স্কোর
▬▬▬▬
এক থেকে নয়-এর স্কেলে আইইএলটিএসের স্কোর দেওয়া হয়। চারটি অংশে আলাদাভাবে ব্যান্ড স্কোর দেওয়া হয়। এগুলোর গড় করে সম্পূর্ণ একটি স্কোরও দেওয়া হয়। এ পরীক্ষায় কৃতকার্য বা অকৃতকার্য হওয়ার কোনো বিষয় নেই। আপনার প্রয়োজনীয় স্কোর করতে পারলেই পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্য সফল হবে। ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে সাধারণত সাড়ে ছয় থেকে সাড়ে সাত পেতে হয়। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যান্ড স্কোরও আলাদাভাবে ভালো করতে হয়। সম্পূর্ণ স্কোর যত ভালোই হোক না কেন, একটি বিভাগে স্কোর কমে গেলে ভর্তির সুযোগ না-ও পেতে পারেন। পরীক্ষা দেওয়ার আগেই জেনে নিন ন্যূনতম কত স্কোর প্রয়োজন। আইইএলটিএস স্কোরের মেয়াদ থাকবে দুই (২) বছর।

আইইএলটিএস স্কোর স্কেল
▬▬▬▬▬▬▬▬
আইইএলটিএস স্কোরসমূহের শুরু ১ থেকে ৯ পর্যন্ত। স্কোরগুলোর স্বীকৃতিস্বরুপ হচ্ছে -
ব্যান্ড ৯ দক্ষ ব্যবহারকারী
ব্যান্ড ৮ খুব ভালো ব্যবহারকারী
ব্যান্ড ৭ ভালো ব্যবহারকারী
ব্যান্ড ৬ পর্যাপ্ত ব্যবহারকারী
ব্যান্ড ৫ পরিমিত ব্যবহারকারী
ব্যান্ড ৪ সীমিত ব্যবহারকারী
ব্যান্ড ৩ অতিরিক্তমাত্রায় সীমিত ব্যবহারকারী
ব্যান্ড ২ ব্যবহারকারী নয়
ব্যান্ড ১ যারা অপ্রাসঙ্গিক উত্তর দিয়েছে বা যারা
communicate ব্যর্থ হয়েছে
ব্যান্ড ০ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেনি / উত্তর দেয়নি

প্রস্তুতি ও পরীক্ষা সংক্রান্ত আরও কিছু তথ্য
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
শুরুতেই একটি মডেল টেস্ট দিন এতে নিজের দক্ষতা সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
কত নম্বর পেলে স্কোর কেমন হবে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে পারেন।
ভুল বানানের জন্য নম্বর কমে যায় তাই বানানে সতর্ক হোন।
যে কয় শব্দে উত্তর দিতে বলা হয়, সে কয় শব্দই লিখতে হবে। দুটি শব্দের মধ্যে উত্তর লিখতে বললে আপনি এক বা দুই শব্দ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু দুইয়ের বেশি শব্দ হলে নম্বর পাবেন না।
ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা যায় না। কাজেই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করুন।
স্পিকিংয়ে
(speaking) ভালো করতে হলে বন্ধুবান্ধব, পরিচিতদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলার অভ্যাস করুন। অনেকে খুব ভালো ইংরেজি জানেন। কিন্তু বলতে অসুবিধা বোধ করেন। এ পরীক্ষার জন্যই নিয়মিত প্রস্তুতি নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নপত্র সমাধান করে আপনি নিজেই অনেকখানি মূল্যায়ন করতে পারবেন। তবে আরও নির্ভরযোগ্যতার জন্য মক টেস্ট
(Mock Tast) দিতে পারেন। ব্রিটিশ কাউন্সিল, উইংসসহ (Wings) বিভিন্ন কোচিং সেন্টার যেমন সাইফুরস, মেন্টরস, গেটওয়েতে নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে মকটেস্ট দেওয়া যায়।
পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে নিন।

রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
পরীক্ষার আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ঢাকা, চট্টগ্রাম অথবা সিলেট শাখায়। তাদের অনুমোদিত 'রেজিস্ট্রেশন পয়েন্ট' সাইফুর'স, গেটওয়ে ও মেনটরস থেকেও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। পরীক্ষার তিন থেকে চার সপ্তাহ আগেই রেজিস্ট্রেশন করা ভালো।
পরীক্ষার্থীরা অনলাইনেও রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। ফি পরিশোধ-সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা অনলাইনেই পাওয়া যাবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের অফিশিয়াল সাইটের 'রেজিস্ট্রার ফর আইইএলটিএস' থেকে 'রেজিস্ট্রার অনলাইন' ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য এন্ট্রির মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা সহজেই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন করতে খরচ পড়বে ১০ হাজার টাকা।
বি.দ্র: রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর পাসপোর্ট থাকা আবশ্যক। রেজিস্ট্রেশনের সময় পাসপোর্টের ১ম ৪ পৃষ্ঠার ফটোকপি জমা দিতে হবে।
৩ কপি সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট আকারের ছবি ( ছয় মাসের অধিক পুরানো নয় এমন ছবি) এবং রেজিস্ট্রেশন ফরমে চশমা পরিচিত ছবি গ্রহণযোগ্য নয়।
আপনার নিবন্ধন ফর্ম কাছের কোন ব্রিটিশ কাউন্সিল অফিস অথবা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ব্রাঞ্চের বুথে অথবা রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টে জমা দিন।
আপনি আপনার পরীক্ষা খরচ ব্যাংক ড্রাফট অথবা নগদ অর্থের মাধ্যমে ব্রিটিশ কাউন্সিলে অথবা রেজিস্ট্রেশন পয়েন্ট অথবা ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিপোজিট স্লিপ পূরন করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের শাখাগুলোতে জমা দিতে পারেন।
বিস্তারিত তথ্য জানতে ব্রিটিশ কাউন্সিল এ যোগাযোগ করুন।

British council IELTS Registration Points:
ব্রিটিশ কাউন্সিল আইইএলটিএস রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টস
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
S@ifur’s: Suvastu Tower (3rd Floor), 69/1, Green Road, Panthapath, Dhaka.
Tel: +880 2 911 85 11/01824-999 888; website: www.saifurs.org

Gateway: 3/3 Block-A Lalmatia, Dhaka 1207, (Behind Sunrise Plaza)
Tel: +880 2 9125092, 8118250; Fax: 8121727 Ext-120 website: www.gateway-edu.net
Mentors: 166/1, Mirpur Road, Kalabagan, Dhaka-1205

Tel: +880 2 9131828, 9141795; website: www.mentors.com.bd

Standard Chartered Bank branches for IELTS registration (British Council): আইইএলটিএস রেজিস্ট্রেশনের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের শাখাগুলোঃ (ব্রিটিশ কাউন্সিল)
Dhanmondi Branch: House –37, Road-2, Dhanmondi R/A, Dhaka 1205.
House –11, Road-5, Dhanmondi R/A, Dhaka 1205.
Gulshan Branch: Block No. NE (K), 3A/1, Holding No. 168, Gulshan Avenue, Dhaka.
SCB House, 67 Gulshan Avenue, Gulshan, Dhaka- 1212.
Uttara Branch: House-81 A, Road –7, Sector-4, Uttara, Dhaka-1230.
Sheraton Branch: Dhaka Sheraton Hotel (BSL Complex), 1 Minto Road, Dhaka 1000.
Mirpur Branch: Plot- 1, Road- 12, Block- C, Section 6, Mirpur, Dhaka 1221.


পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ
▬▬▬▬▬▬▬▬
ব্রিটিশ কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে প্রতি মাসে তিনবার করে বছরে ৩৬ বার আইইএলটিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগে, কোনো পরীক্ষার্থী আশানুরূপ না পেলে পরে পরীক্ষা দিতে হতো প্রথম পরীক্ষার অন্তত তিন মাস পর। এখন নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত স্কোর পাওয়ার আগ পর্যন্ত যতবার খুশি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

সাধারণত আইইএলটিএস ফল প্রকাশিত হয় পরীক্ষার ১৩ দিন পর। ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে ফলাফল সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া ব্রিটিশ কাউন্সিল এর ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার্থীর নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, জন্মতারিখ, পরীক্ষা প্রদানের তারিখ এন্ট্রি করে সহজেই জেনে নিতে পারবেন আইইএলটিএস পরীক্ষার ফলাফল। যদি আপনার পরীক্ষার ফলের ওপর কোন সন্দেহ থাকে তবে ছয় সপ্তাহের মধ্যে 'এনকুয়ারি অন রেজাল্ট'-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে, ফলাফলে ভুল ধরা পড়লে অবশ্যই আপনি ওই টাকা ফেরত পাবেন। ছয় থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই ব্রিটিশ কাউন্সিল আপনার পুনঃনম্বরকৃত ফলাফল ফিরে পাবে এবং তখন ব্রিটিশ কাউন্সিল আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
পরীক্ষা কেন্দ্রে কি কি নিয়ে যেতে হবে
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
মেয়াদ আছে এমন একটি আসল পাসপোর্ট
কলম, পেন্সিল এবং রাবার (চাইলে সাপ্নারও নিতে পারেন)
মোবাইল ফোন এবং অনান্য জিনিষ অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে এবং সাথে যা যা ( ব্যাগ, বই ইত্যাদি) ব্যাক্তিগত জিনিসপত্র নির্দিষ্ট দ্বায়িতে থাকা ব্যাক্তির কাছে জমা রাখতে হবে।
আইইএলটিএস ও টোফেল এর পার্থক্য
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
আইইএলটিএসে রাইটিং অংশটি ম্যানুয়ালি যাচাই করা হয় কিন্তু টোফেল সম্পূর্ণ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত। তাই আইইএলটিএসে রাইটিংয়ের দক্ষতা ভালভাবে যাচাই হয়। মজার বিষয় হলো, এখন আইইএলটিএস যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায়ও গ্রহণ করা হচ্ছে, আগে সেখানে শুধু টোফেল স্কোর গ্রহণ করা হতো।
আইইএলটিএস পরীক্ষার মানদণ্ডঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
আইইএলটিএসে পাস-ফেলের ব্যাপার নেই। এখানে নয় ব্র্যান্ডের একটি স্কোরিং পদ্ধতি চালু আছে। প্রতিটি পৃথক সেকশনের ব্র্যান্ডের দ্বারা সামগ্রিক ব্র্যান্ডের মান যাচাই করা হয়। এখানে নয় স্কোর করার মানে হলো, ইংরেজীতে আপনি দারুণ এক্সপার্টর্ট, ইংরেজীর ওপর আপনার সম্পূর্ণ দক্ষতা আছে। আট মানে হলো, প্রায় সম্পূর্ণ দক্ষতা থাকলেও কালেভদ্রে কোন বিশেষ সেকশনে আপনার সমস্যা হয়ে থাকে। সাত স্কোর মানে আপনি চলনসই। এভাবেই ব্র্যান্ডগুলোর বিন্যাস করা হয়েছে। আইইএলটিএসে বর্তমানে সাত বা তার বেশি স্কোর না করলে কোন ভাল বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউকে গ্রহণ করা হয় না।

আইইএলটিএসের প্রস্তুতি অনলাইনে
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
অনলাইনে আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং ভালো স্কোর পেতে সহায়ক এমনসব তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে বেশ কিছু ওয়েবসাইট। রাইটিং, রিডিং, স্পিকিংয়ের ওপর বিশদ ধারণা, লেসন, অডিও টিউটোরিয়ালসহ প্রয়োজনীয় সব কিছুই যুক্ত করা হয়েছে এসব সাইটগুলোতে। আইইএলটিএস প্রস্তুতিতে সহায়ক এমন কিছু ওয়েবসাইটের ঠিকানা।

www.britishcouncil.org/professionals-exams-ielts-intro.htm
www.ielts-exam.net
www.ielts.studyau.com
www.candidates.cambridgeesol.org/cs
www.cross-link.com/ielts-tutor.html
www.uefap.co.uk

(ইন্টারনেট হতে সংগ্রহীত)

.

.
..
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

BreaKingNew:

^ Back to Top