Aassalamu alikum how are you I hope you are all well. All the praise to Allah subhanahu oatala.I am Abu Saeid Studying MS in Food Processing and Preservation in Hajee Muhammad Danesh Science and Technology University, Dinajpur. Stay in Zia hall room no#226# 1st floor in HSTU campus, Basher hat, Dinajpur.

POSTS\\\\

Friday, February 17, 2017

কিভাবে লিঙ্কডইন প্রোফাইল তৈরি করবেন?

লিঙ্কডইন বর্তমান সময়ে চাকরী পেতে খুবই সহায়ক। নতুন, পুরাতন অনেকের লিঙ্কডইন প্রোফাইলই আপডেটেড না। অনেকে জানেনই না হয়তো যে কিভাবে কি করতে হয়। তাদের জন্যে আমার দৈনিক যুগান্তরে ছাপা হওয়া লেখাটি শেয়ার করছি। আশাকরি সকলের কাজে আসবে। 
"আমি মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু করি ২০০৪ সালে। প্রথম যখন ফোন কিনি তখন ভেবেছিলাম আমার তো ফ্যামিলি আর দুই চারজন বন্ধু ছাড়া আর কাউকে প্রয়োজন নেই। শুধু শুধু নম্বর কিভাবে সেভ করা না শিখে মুখস্ত করে ফেললেই হয়। এভাবে দিন যেতে থাকে, আমিও সবার নম্বর মুখস্ত করতে থাকি। এভাবে ৩০-৪০ টা নম্বর মুখস্ত করলাম। তারপর বুঝলাম কাজটা আর সম্ভব নয়। আমাকে নম্বর সেভ করা শিখতে হবে এবং নম্বর সেভ করেই রাখতে হবে। গল্পটা বলার উদ্দেশ্য যুগের চাহিদা, উন্নয়নকে এড়িয়ে গিয়ে আপনি নিজে এগোতে পারবেন না। ২০১৬ সালে আপনি ইমেইলের পরিবর্তে চিঠি পাঠানোর চিন্তা করলে নিজেই বোকা বনে যাবেন। 

কথাগুলো বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে লিঙ্কডইন। বর্তমানে প্রফেশনালদের সবচেয়ে বড় সংযোগস্থল হচ্ছে লিঙ্কডইন। আপনি কখনো লিঙ্কডইন ব্যবহার করেননি। তাই, লিঙ্কডইন ছাড়াই আপনার চলবে, এটা ভাবা বোকার মত হবে। অন্যরা কিন্তু ঠিকই এগিয়ে যাচ্ছে। উইকি পিডিয়া বলছে, ২০১৫ সালে লিঙ্কডইন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৪০০ মিলিয়ন। তাহলে, আপনি পিছিয়ে থাকবেন কেন? চলুন ঘুরে আসি লিঙ্কডইনের জগত থেকে, জেনে নেই কিভাবে লিঙ্কডইন আপনাকে চাকরীর বাজারে এগিয়ে রাখবে। 
মনে রাখবেন, লিঙ্কডইন তৈরির ধাপটি আসবে কেবল মাত্র আপনার সিভি তৈরির পর। কারন লিঙ্কডইন প্রোফাইল তৈরিতে সিভি তৈরির ৮০ ভাগ দক্ষতাই কাজে লাগে। 
লিঙ্কডইন কি? 
আসুন, সন্ধি বিশ্লেষণ করি। লিঙ্কডইন = লিঙ্ক+ইন, “ইন” মানে ভিতরে আর “লিঙ্ক” মানে সংযুক্তি বা সংযোগ। তার মানে কি? যার ভিতরে গেলে লিঙ্ক আছে তাকেই লিঙ্কডইন বলে, নাকি? জী, একদম ঠিক, লিঙ্কডইন অনেকটা ওই রকমই। আপনি হয়তো বলবেন, আমার মামা, খালা, চাচারাই তো আমার লিঙ্ক। তাদেরকে বলছি, কাজকে নিজের সাফল্যের মাপকাঠি হিসেবে ধরুন। ৪০০ মিলিয়ন মামা, খালা কাকুরা লিঙ্কডইনে আপনার অপেক্ষায় আছে। 
লিঙ্কডইন অনেকটা ফেসবুকের মতই। ফেসবুকে যেমন কোথায় খাচ্ছেন, ঘুরছেন এসব শেয়ার করা যায়, তেমনি লিঙ্কডইনে কোথায় কাজ করছেন, কি করছেন, নতুন কি করলেন সেগুলো দেয়া যায়, নোট পাবলিশ করা যায়। নিজেকে তুলে ধরুন লিঙ্কডইনের মাধ্যমে। মনে রাখবেন, নিজের ঢোল নিজেকেই পিটাতে হয়, অন্যকে ঢোল দিলে তা বাজাতে গিয়ে তারা ফাটিয়ে ফেলে। 
লিঙ্কডইন কেন দরকার? কিভাবে এটি কাজ করে?
১। বর্তমানে প্রফেশনালদের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যম হচ্ছে লিঙ্কডইন। পুরো দুনিয়া এগিয়ে যাচ্ছে। আপনি কেন পিছিয়ে থাকবেন? ৪০০ মিলিয়ন মামা, খালা, চাচা এক জায়গায় আর কোথায় পাবেন?
২। লিঙ্কডইন একটি বৈশ্বিক যোগাযোগের মাধ্যম। দুনিয়ার যে কোন প্রান্তের যে কোন কোম্পানির যে কোন লোককে পাওয়া সম্ভব লিঙ্কডইন দ্বারা। 
৩। উন্নত দেশগুলোতে লিঙ্কডইনের মাধ্যমে অনেকেই পাচ্ছে মনের মত চাকরী।
৪। ওয়েবসাইটের সাথে সংযুক্ত করার মাধ্যমে চাকরীর সব বিজ্ঞপ্তি গুলো আপনি পাবেন লিঙ্কডইনে।
৫। লিঙ্কডইন আপনাকে বাছাই করে বলে দিবে আপনার আসলে কোন কোন চাকরীর জন্য আবেদন করা দরকার।
৬। আপনার ভালো কাজের জন্য আপনাকে আপনার কলিগ বা বস রেকমেন্ড করতে পারে যা কিনা আপনাকে পরবর্তী চাকরী পেতে অনেক সাহায্য করবে।
৭। লিঙ্কডইনে আপনার যে কোন পোস্ট কেউ লাইক, শেয়ার বা কমেন্ট করলে সেটা তার প্রোফাইলেও যারা যুক্ত আছে তাদের হোমপেজে চলে যাবে। অনেকের মধ্যে নিজের ভালো কাজের খবর ছড়িয়ে দিতে লিঙ্কডইনের জুড়ি নেই।
৮। লিঙ্কডইন ব্যবহার করে আপনি সরাসরি আবেদন করতে পারবেন অনেক বহুজাতিক কোম্পানিতে।
৯। দেশী ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর পেজ বা গ্রুপ ফলো করলে পাবেন তাদের আপডেটগুলো।
১০। কোথাও আবেদন করার সময় ওই কোম্পানি কেমন, কারা ওই কোম্পানিতে চাকরী করছেন ইত্যাদি নানা তথ্য পাবেন লিঙ্কডইনে। 
কিভাবে তৈরি করবেন আকর্ষণীয় লিঙ্কডইন?
ধরুন, আপনার সিভি লিখা শেষ, সিভিতে আপনার পার্সোনাল তথ্য গুলো যেভাবে বসিয়েছেন ঠিক একই ভাবে লিঙ্কডইনেও বসান। প্রফেশনাল ছবি দিন। চলুন, স্টেপ বাই স্টেপ এগিয়ে যাইঃ 
১। সারাংশঃ লিঙ্কডইন প্রথমেই আপনার সম্পর্কে জানতে চাইবে। নিজেকে কৃতকর্মের মাধ্যমে পরিচিত করান এবং কি কি কাজ জানেন বা কি করতে চান তুলে ধরুন। মিশন ও ভিসন স্টেটমেন্ট লিখুন। লিঙ্কডইন আপনকে দিচ্ছে আপনার যে কোন ভিডিও ব্লগ, ডকুমেন্ট, প্রেজেন্টেশান আপলোড করার সুযোগ। নিজের সিভিটি এখানে আপলোড করে রাখতে পারেন। 
২। এক্সপেরিয়েন্সঃ ঠিক যেমন তৈরি করেছেন সিভিতে। কপি পেস্ট করে বসিয়ে দিন, কনট্রোল সি ও কনট্রোল ভি এর মামলা। এক্ষেত্রেও লিঙ্কডইন আপনাকে ডকুমেন্ট, ইমেজ, ভিডিও, যুক্ত করার সুযোগ দিয়েছে। কোন কোম্পানিরই গোপনীয় কোন তথ্য দেওয়া যাবে না। কিন্তু ধরুন, আপনি একটি ট্রেনিং করেছেন বা করিয়েছেন, আপনি প্রেজেন্টেশান দিয়েছেন, আপনার কোম্পানির কোন পাবলিশ হওয়া লেখা, ভিডিও, কোন ফিচার এখানে আপলোড করুন। সিভিতে এই সুযোগ নেই। একাধিক কোম্পানিতে চাকরীর অভিজ্ঞতা থাকলে প্রতি ক্ষেত্রে একই পন্থা অবলম্বন করুন। 
যারা ফ্রেশার তারা ইন্টার্নশিপ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিসিট, মেম্বারশিপের মাধ্যমে অভিজ্ঞতার ঘরটি পুরন করুন। কো-কারিকুলাম আক্টিভিটিজের মাধ্যমে আপনি কোন কোন কাজে অভিজ্ঞ ফুটিয়ে তুলুন। কোন কাজে সেচ্ছাসেবক হিসেবে ছিলেন বা কোন কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন অল্প কিছু দিনের জন্য। সেটাও বসানোর সুযোগ আছে লিঙ্কডইনে। 
৩। এন্ডোর্সমেন্টঃ ব্যাপারটা অনেকটা ভোটের মত। আপনি এখানে আপনার ৫০টি স্কিলের নাম বলবেন। আপনার সবচেয়ে ভালো ১০টি স্কিল লিঙ্কডইন দেখাবে। আপনার সাথে যারা কানেক্টেড হবেন তারাই বলে দিবে্ন যে আপনি আসলেই যে দক্ষতাটি উল্লেখ করেছেন আসলে আপনি ওই ব্যাপারে কতটা দক্ষ। অবশ্যই লিঙ্কডইনে এন্ডোর্সমেন্ট বাড়াবেন যাতে অন্যরা আপনার প্রোফাইল দেখে আপনার দক্ষতা সম্পর্কে ধারনা পায়। ধরুন, আমি ট্রেইনার। এখন আপনি যদি আমাকে এন্ডোর্স করেন ট্রেইনার হিসেবে, তাহলে অন্য কেউ যখন আমার প্রোফাইল দেখবেন, তখন উনি ধারনা পাবেন যে আমি ট্রেইনার। কারন আপনি আমাকে ট্রেইনার হিসেবে সার্টিফাই বা এন্ডোর্স করেছেন। 
৪। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ সিভি থেকে এক এক করে সবগুলো বসিয়ে নিন। সার্টিফিকেট চাইলে স্কান করে যুক্ত করে দিতে পারেন। প্রফেশনাল সার্টিফিকেট যুক্ত করা ভালো। 
৫। প্রকাশনাঃ কারো কোন লিখা, কোন জার্নাল ছাপা হয়ে থাকলে লিঙ্কসহ সেটিও দিয়ে দিন। মজার বিষয় হচ্ছে, আপনি যখন প্রোফাইল সাজাবেন তখন লিঙ্কডইন নিজেই আপনাকে অনেক নির্দেশনা দিবে। 
৬। ট্রেনিংঃ সিভি থেকে এক এক করে ট্রেনিং গুলো তুলে নিন। কোন কোর্স করা থাকলে সেটি অ্যাড করুন। 
৭। টেস্ট স্কোরঃ জিআরই, আই ই এল টি এস, টোফেল পরীক্ষার স্কোর দিতে পারেন। যুক্ত করতে পারেন সার্টিফিকেটও।
৮। পুরস্কারঃ আপনি হয়তো চাকরীর পাশাপাশি কোন কাজের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন। কোন সমাজসেবা মুলক কাজ, কোন খেলাধুলা, স্কাউট, বিতর্ক ইত্যাদি, সেগুলো উল্লেখ করতে পারেন। চাকরীতে পাওয়া পুরস্কারের কথা এক্সপেরিয়েন্স অংশে লেখাই ভালো। 
৯। প্রোজেক্টঃ আপনি হয়তো কোন প্রোডাক্ট লঞ্চ করেছেন, কোন নতুন মেশিন বসিয়েছেন কোম্পানিতে, কোন ইভেন্ট অ্যারেঞ্জ করেছেন। এগুলোর প্রত্যেকটিই প্রজেক্ট। এগুলো সাবলীল ভাবে উল্লেখ করুন। মনে রাখবেন, নিত্যদিনের কাজগুলো কিন্তু প্রজেক্ট না। প্রজেক্টের শুরু আছে, শেষ আছে। প্রজেক্ট ইউনিক।
১০। সার্টিফিকেশানঃ ধরুন আপনি কোন ক্লাবের মেম্বার, কোন দলের সভাপতি। সেই সার্টিফিকেটগুলো এখানে তুলে ধরতে পারেন। 
১১। প্যাটেন্টঃ আপনার কোন নতুন আইডিয়া যা কিনা আপনার নিজের বা কোম্পানির জন্য বিরাট সাফল্য বয়ে এনেছিলো, এখানে সেগুলো উল্লেখ করুন। আপনি হয়তো কোম্পানিতে কোন একটা পলিসি তৈরি করে দিয়ে এসেছেন, যেটা আগে ছিলো না। 
কেউ রেফারেন্স হিসেবে চাইলে “Niaz Ahmed” লিখে আমার লিঙ্কডইন প্রোফাইল দেখতে পারেন। যদিও আমি বলবোনা যে আমারটিই সেরা। সিভি তৈরি ছাড়া লিঙ্কডইন তৈরি অসম্ভব। প্রথমে সিভি তৈরি করুন, তারপর লিঙ্কডইন, তারপর জব পোর্টালে সিভি আপলোড দিন। লিঙ্কডইন প্রোফাইল পাবলিক করে রাখুন। কাজ করেছেন, সেটা লোকে জানুক, ক্ষতি নেইতো। চাকরী দাও, চাকরী দাও। নিজে নিজে চিৎকার না করে নিজের কাজ গুলোকে আকর্ষণীয় ভাবে ফুটিয়ে তুলুন। আপনার কাজই আপনার হয়ে সুপারিশ করবে। সময়ের অগ্রযাত্রা ও যুগের চাহিদাকে চ্যালেঞ্জ করবেন না, ফেসে যাবেন। সকলকে ধন্যবাদ ধৈর্য সহকারে লেখাটা পড়ার জন্য।
Courtesy:
দৈনিক যুগান্তর (২৮/০১/২০১৬)
নিয়াজ আহমেদ (ট্রেইনার ও প্রফেশনাল সিভি রাইটার)
০১৭১৭৫৭৭৭৪৬

No comments:

Post a Comment

.

.
..
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

BreaKingNew:

^ Back to Top