অন্তর কঠিন হয়ে যায় কেন?
Source: QuranerAlo Editor
লেখকঃ
আবুল কাসেম মুহাম্মাদ মাসুম বিল্লাহ | সম্পাদনাঃ ড. আবু বকর মুহাম্মাদ
যাকারিয়া
মুসলিম
উম্মাহ আজ যে সব মহাপরীক্ষা ও মহা মুছিবতে পতিত এবং কঠিন ও ভয়াবহ রোগে
আক্রান্তহয়েছে, তন্মধ্যে এমনই একটি রোগ হলো: অন্তর (ক্বালব) কঠিন হয়ে যাওয়া।
নিম্নলিখিত কারণে ক্বালব বা
অন্তর কঠিন হয়ে যায়:-
১- নামাযের জামা‘আতে হাযির হওয়ার ব্যাপারে অবহেলা ও
গাফলতি করা এবং মসজিদে সকাল সকাল না যাওয়া বরং দেরী করা।
২- কুরআনকে পরিত্যাগ করা অর্থাৎ
বিনয়-নম্রতা আর মনোযোগ এবং চিন্তা গবেষণাসহকারে কুরআন তেলাওয়াত না করা।
৩- হারাম রুজি যেমন:সুদ, ঘুষ,
মাল্টিপারপাস, ইন্স্যুরেন্স এবং বেচাকেনাসহ বিভিন্ন লেনদেনে প্রতারণা ও জালিয়াতি
সহ অন্যান্য হারাম পদ্ধতিতে রুজি-রোজগার করার কারণে।
৪- অহংকার, বড়াই, প্রতিশোধপরায়ণতা,
মানুষের দোষ-ত্রুটি বা অপরাধকে মাফ না করা, মানুষকে অবহেলা করে নিকৃষ্ট মনে করা,
মানুষকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা।
৫- দুনিয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে ঝুঁকে
পড়া, দুনিয়া দ্বারা প্রতারিত হওয়া এবং মৃত্যুকে, কবরকে এমনকি আখেরাতকে ভুলে যাওয়া।
৬- যে কোনো বেগানা নারীর দিকে তাকানো
হারাম; যা অন্তরকে কঠোর করে দেয়।
৭- দাঁড়ি গজায়নি এখনো এমন সুন্দর
ছেলের দিকে অযথা তাকানো হারাম; তাই সেটাও অন্তর কঠোর করে দেওয়ার অন্যতম কারণ।
৮- আমি নিজে প্রতিদিন কি কি খারাপ কাজ
করলাম? নিজের সমালোচনা নিজে না করা, বরং মানুষের সমালোচনা করা।
৯- অনেক দিন দুনিয়ায় থাকবো,অনেক কিছুর
মালিক হবো এমন ভুল ধারণা মনের ভিতর থাকা।
১০- আল্লার যিকির বেশী বেশী না করে
বরং বেশী বেশী কথা বলা, বেশী বেশী হাসাহাসি-তামাশা এবং মশকারী বা মজাক করা।
১১- বেশী খাওয়া-দাওয়া করা।
১২- বেশী ঘুম যাওয়া।
১৩- মানুষের উপর জুলুম করা।
১৪- শরীয়তের কোনো আদেশ-নিষেধ লংঘন
হওয়ার কারণ ব্যতীত অন্য কোনো কারণে রাগ করা।
১৫- ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার উদ্দেশ্য
ব্যতীত কাফেরের দেশ ভ্রমণে বের হওয়া।
১৬- মিথ্যা, গীবত (পরচর্চা) এবং
একজনের কথা অন্যের নিকট গিয়ে বলার মাধ্যমে উভয়ের মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টি করা।
১৭- খারাপ মানুষের সাথে উঠাবসাও
চলাফেরা করা।
১৮- অন্য মুসলিমকে মনে মনে অথবা
প্রকাশ্য হিংসা করা।
১৯- একজন মুসলিমের উন্নতি সহ্য করতে
না পারা, বরং তার ধ্বংস কামনা করা।
২০- অন্য মুসলিম ভাইয়ের সাথে শত্রুতা
করা, ঘৃণা করা এবং তাকে অপছন্দ করা।
২১- আপনার নিজের বা মুসলিম ভাইয়ের
কোনো লাভ বা ফায়েদা ব্যতীত নিজের ও অপরের সময় নষ্ট করা।
২২- ইসলামী জ্ঞান শিক্ষা না করা এবং
ইসলামী শিক্ষা হতে নিজকে দূরে সরিয়ে রাখা।
২৩- জাদুকর, গণক, জোতিষী,
তন্ত্রমন্ত্রকারীর নিকট যাওয়া।
২৪- মাদক, নেশাজাতীয় দ্রব্য,
বিড়ি-সিগারেট, হুক্কা, লতা ওয়ালা হুক্কা সহ যাবতীয় তামাক ও তামাকজাত এবং ক্ষতিকর
দ্রব্য পান করা।
২৫- সকাল-সন্ধ্যার যিকরসমুহ পাঠ না
করা।
২৬- গান শুনা, হিন্দী সহ যাবতীয়
লেংটা, চরিত্রহীন হারাম ফিল্ম দেখা, পতিত (খারাপ) চটি পত্রিকা ম্যাগাজিন পাঠ করা।
২৭- আল্লাহর নিকট সর্বদা
গুরুত্বসহকারে দো‘আ না করা।
No comments:
Post a Comment